মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের’ চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে দশ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই আবেদন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করে সিআইডি।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক শ শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের’ চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি দল দুপুরে অভিযান চালিয়ে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে।
সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খায়রুল বাশার তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। চক্রটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, স্কলারশিপ এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, মনগড়া প্রতিনিধিত্ব ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হতো। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অনেকের নামে বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনই করা হয়নি। আবার অনেকে বিদেশে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছেন।সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।
সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার খায়রুল বাশার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতেন এবং সেখান থেকে অর্থ উত্তোলন করে স্থাবর সম্পদ ক্রয়, ব্যবসা পরিচালনা ও অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করেছেন।
এ ঘটনায় গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।




0 coment rios: