
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বড় ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থের উৎস গোপনের অভিযোগে তার জমি, বিলাসবহুল গাড়ি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। মামলার আবেদন করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন।
আদেশে নুরুজ্জামান আহমেদের নামে থাকা পূর্বাঞ্চলের নতুন শহরের ১০ কাঠা জমির একটি প্লট ও লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ৭ শতাংশ জমি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়, যার মোট মূল্য ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। একই সঙ্গে তার মালিকানাধীন ৬ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৫০৪ টাকা মূল্যের একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শুধু নুরুজ্জামান নন, তার স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার নামে থাকা ১১৬ শতাংশ জমি জব্দ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে বর্তমানে রয়েছে ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৭ টাকা।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দায়িত্বে থাকাকালে সাবেক মন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি এই অবৈধ টাকার উৎস গোপন করতে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মতো অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত।
সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই মামলাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন নজর রয়েছে তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ ও বিচার প্রক্রিয়ার দিকে।
0 coment rios: