Friday, 11 July 2025

ববি ক্যাম্পাস জুড়ে জলাবদ্ধতায় নাকাল শিক্ষার্থীরা

আবদুল্লাহ আল শাহিদ খান

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি






বর্ষা এলেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) সামান্য বৃষ্টিতে একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবন আশপাশসহ ক্যাম্পাস জুড়ে সকল সড়কগুলোতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার  সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে মূল ফটকের সামনে থেকে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার যাতায়েত পথটুকুতে হাটু সমান পানি থাকে। কেন্দ্রীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের ভিতরেও একই চিত্র দেখা যায়।

এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হয় । 


শিক্ষার্থীরা অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষাকালে একই চিত্র দেখা গেলেও কোনো স্থায়ী সমাধান নেয় না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরাবরই তারা নীরব ভূমিকায় থাকেন। 


সরেজমিনে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হন জুতা হাতে নিয়ে প্যান্ট গুটিয়ে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে ক্লাসে যেতে হয়। প্রবেশপথে জমে থাকা পানি ও ভাঙা রাস্তা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করে।  


এ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শহিদ আফ্রিদি বলেন, “ হালকা বৃষ্টিতেই ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলোর বেহাল দশা হয়ে পড়ে । কিছু স্থানে হাঁটা তো দূরের কথা, কোথাও কোথাও পানি এতটাই বেশি যে, পা টেনে চলতে হচ্ছে, জুতা জামা ভিজে একাকার। যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকতো বা রাস্তা উঁচু করা যেত, তবে শিক্ষার্থীদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। বিশেষ করে গ্রাউন্ড ফ্লোরের সামনের চিত্রটি, যেখানে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী চলাচল করে, এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র হতো পারে না, এসব জায়গা জলাবদ্ধতা নিরসন এখনই জরুরি।”


রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, "জুতা হাতে ক্লাসে যাওয়া যেন আমাদের নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে গেছে। এটা কি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র হতে পারে?"


ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তানভীর হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, জ্ঞানচর্চার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পানি ডিঙ্গিয়ে এভাবে ক্লাসে যাওয়ার পর অনুভব হয়, যেন আমরা জলাশয়ে এসে পৌঁছেছি। পানির মধ্য দিয়ে জুতা খুলে বা ভিজিয়ে ক্লাসে যাওয়ার দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জার বিষয়।" তিনি আরো বলেন, "প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে আমরা বারবার হতাশ হচ্ছি।"


জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপের বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদিন দায় সাড়া জবাবে বলেন, “উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টি আমার কাজ নয় ।এ মুহুর্তে আমি একটা মিটিংয়ে আছি ।”


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: