14 Jul 2025

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলে শিক্ষার্থীদের নানা দুর্ভোগ

আবদুল্লাহ আল শাহিদ খান

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি

 


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যা বিরাজ করছে। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় শিক্ষার্থীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দুটি হল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সেখানে বসবাসরত ছাত্ররা বিদ্যুৎ বিভ্রাট, পানীয় জলের ঘাটতি, অপরিষ্কার পরিবেশ এবং নিরাপত্তাহীনতায় চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা এবং বিজয়-২৪ হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা দিন দিন একই ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র তানভীর আহমেদ জানান, "আমাদের হলে প্রায় প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গরমে হাঁসফাঁস করতে হয়, রাতে পড়াশোনা করা যায় না। কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কোনো লাভ হয়নি।"

একই অভিযোগ করেন বিজয় হলের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, "শুধু বিদ্যুৎ নয়, এখানে বিশুদ্ধ পানীয় জলেরও অভাব রয়েছে। ফিল্টার থাকলেও তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে বোতলজাত জল কিনে খেতে হয়।"

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রেও হল দুটির অবস্থা হতাশাজনক। আঙ্গিনা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আবর্জনার স্তূপ প্রায়শই হলের আশপাশে দেখা যায়, যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

শেরে বাংলা হলের আরেক আবাসিক ছাত্র ফাহিম বলেন, "বাথরুমের অবস্থা খুবই খারাপ। দুর্গন্ধে থাকা যায় না। মশা-মাছির উপদ্রবও তো লেগেই থাকে।"

অন্যদিকে, হলের নিরাপত্তা নিয়েও ছাত্ররা শঙ্কিত। বিজয়-২৪ হলের শিক্ষার্থী সজল জানান, "রাতে অনেক সময়ই কারেন্ট থাকে না, ফলে কারা আসে যায় আমরা জানতে পারি না। কয়েক মাস আগে আমাদের হলের এক ছাত্রের ল্যাপটপ চুরি হয়ে গিয়েছিল।"

এইসব সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা মনে করেন, আবাসিক হলগুলোর প্রতি নজর দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে দ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধান হওয়া জরুরি।

শিক্ষার্থীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায়, বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: