24 Aug 2025

চুুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১০ মিনিটের ব্যবধানে মা-ছেলের মৃত্যু।

 



মোঃ মিনারুল ইসলাম

চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতনিধি



চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় হাটাহাটি করার সময় মোছাঃ  চায়না খাতুন (৬৩) নামের এক বৃদ্ধা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।


আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধা ০৭ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যায়।


এদিকে, মায়ের মৃত্যু দেখে ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) হাসপাতালেই মাথাঘুরে পড়ে যান। দ্রুত জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত. ঘোষনা করেন। অর্থাৎ প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যেই মা-ছেলে দুজনই মারা যান। এমন দৃশ্য দেখার পর ওয়ার্ডের রোগী-স্বজন এমনকি ডিউটিরত নার্সদেরও কাদতে দেখা যায়।


বৃদ্ধা চায়না খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত. আলাউদ্দিনের স্ত্রী

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সন্ধার দিকে চায়না খাতুন নিজ এলাকায় হাটাহাটি করছিলেন। এ সময় হঠাৎ মাথাঘুরে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।


মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ডিউটিরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমানা খাতুন বলেন, বৃদ্ধ নারী ভর্তি হবার কিছুক্ষন পর অবনতি হলে চিকিৎসককে জানানো হয়। পরে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষনা করেন।


 এরই মধ্যে ওই নারীর জন্য ওষুধ কিনতে তার ছেলেকে ফার্মেসিতে পাঠানো হয়। এরই মাঝে তিনি মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। পরে হাসপাতালের সিড়ি দিয়ে নামার সময় মাথাঘুরে পড়ে যান। পরবর্তীতে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর তাকেও মৃত ঘোষনা করেন।  

তিনি আরও বলেন, এমন মৃত্যু খুবই কম দেখেছি। আমাদেরও অনেক খারাপ লাগছে। ডিউটি করতে গিয়ে এমন হৃয়দবিদায়ক ঘটনার সাক্ষী হতে হলো।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইসরাত জেরিন জেসি বলে, ওই নারীকে ভর্তির প্রায় ১৫ মিনিট পর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপরই তার ছেলে মাথাঘুরে পড়ে গেলে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে তাকেও মৃত ঘোষনা করা হয়।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: