মোঃ মিনারুল ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি
চুুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ৮৯ নং নতুন বাস্তপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয় এর আয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উত্তম চর্চা সম্পর্কে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আনন্দ-উচ্ছাস আর বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার মধ্যে দিয়ে দামুড়হুদা উপজেলার নতুন বাস্তপুর গ্রামের ৮৯ নং নতুন বাস্তপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ে উপস্থিত সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদার্পনে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের কে নিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মা সমাবেশ সুষ্ঠভাবে উদযাপিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উত্তম চর্চা সম্পর্কে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনামুলক সভা উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই ) সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় ৮৯ নং নতুন বাস্তপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে উক্ত আয়োজিত মঞ্চে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুুয়াডাঙ্গার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব তিথী মিত্র। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান উপজেলা দামুড়হুদা চুুয়াডাঙ্গা।
এর আগে নতুন বাস্তপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের উদ্যোগে জাতীয় সংগীত, ও , বকতৃতা আবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও উত্তম চর্চা আহবান করা হয়। এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথী জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জেলা প্রশাসক চুুয়াডাঙ্গা বলেন শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি সাফল্য লাভ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন যে আমাদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে হলে শুধু শিক্ষকদের কাছে ছেড়ে দিলেই হবে না পিতা মাতা কেও দিকনির্দেশনা দিতে হবে। স্কুলে এসে খোজ খবর নিতে হবে। সন্তান খোথায় যায় কোথায় থাকে তাঁর খোজ খবর রাখতে হবে।তিনি আরও বলেন ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই জরাজীর্ণ স্কুল টি মেরামত দ্বীতল ভবন করা প্রয়োজন। তিনি স্কুলের পাশে প্রাচীর নির্মাণ, দ্বীতল ভবন, স্কুলে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি জনাব তিথী মিত্র উপজেলা নির্বাহী অফসার দামুড়হুদা বলেন আমরা দ্রুত সারের দেওয়া ওয়াদা বাস্তবায়ন করব এবং ৮৯ নং নতুন বাস্তপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়কে একটি মডেল স্কুল হিসেবে গড়ে তুলব। তিনি আরো বলেন শিক্ষক ও আমাদের উপর ছেড়ে দিলেই হবে না বরং পিতা মাতাকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান ( ভারপ্রাপ্ত )গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন। আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী শিক্ষক/ শিক্ষীকাগণ জেসমিন খাতুন, সহকারী শিক্ষীকা মোছাঃ শারমিন আক্তার, সহকারী শিক্ষীকা মোঃ ইসমাইল হোসেন সহকারী শিক্ষক।
এ'সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গ্রামের গণ্য মান্য ব্যাক্তিবর্গগণ। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বক্তারা বলেন, শিক্ষা একটি জাতীর মুল চালিকাশক্তি ও শিক্ষা সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষার মান ধরে রাখতে হলে শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বক্তারা আরও বলেন যে বিগত বছরের সকল ব্যর্থতা, গ্লানি সবকিছু ভুলে সামনে নতুন করে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।
উক্ত মা সমাবেশ দিবসটি বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে মৈত্রী, সম্পপ্রীতি, চেতনার জাগরণ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে জেগে উঠার প্রত্যয়ে অতীতের গানি মুছে দিয়ে নতুন দিনের স্বাভাবিক জীবন চলার প্রত্যাশায় পালিত হয়।
0 coment rios: