Sunday, 13 July 2025

পাবনায় চার দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন: এক্সপ্রেস ট্রেন চালু ও ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পুনরায় চালুর দাবি

মোঃ ইমরান নাজির

পাবনা উপজেলা প্রতিনিধি

 



উত্তরাঞ্চলের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা আর উপেক্ষার প্রতিবাদে শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের আয়োজন ও উদ্যোগে আজ (রবিবার) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে পাবনা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ চত্বরে চার দফা দাবিতে অনুষ্ঠিত হয় এক শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন। পাবনার সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে শহীদ চত্বর হয়ে ওঠে প্রতিবাদমুখর।

শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষার্থী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। চারটি মৌলিক দাবি ঘিরেই জোরালো উচ্চারণ শোনা গেছে জনতার কণ্ঠে:

১. যমুনা রেলসেতু হয়ে ঢাকা–পাবনা সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন চালু,
২. আরিচা–কাজিরহাট ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তর,
৩. ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পুনরায় চালু,
৪. পাবনা শহরের গুরুত্বপূর্ণ আব্দুল হামিদ রোডকে চার লেনে উন্নীতকরণ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা জামায়াতের নায়েবে আমির ইকবাল হুসাইন, শহর শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি গোলাম রহমান জয় ও সাধারণ সম্পাদক এস এম হাবীবুল্লাহসহ বহু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি।

বক্তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ও ইপিজেডে কর্মরত বিদেশি ও দেশি হাজারো মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। এই জেলা, এই অঞ্চল চায় আধুনিক যোগাযোগ। আর তাতেই বাঁধা আরিচা ঘাটের দীর্ঘসুত্রতা ও অব্যবস্থাপনা। খয়েরচরে ফেরিঘাট স্থানান্তর হলে যোগাযোগ হবে দ্রুত, সহজ ও সাশ্রয়ী। কয়েক ঘণ্টা সময়ের ভোগান্তিকে পরিণত করা যাবে সামান্য ২০-২৫ মিনিটে। রেলওয়ে আছে অভাব শুধু একটি ট্রেনের, সেটা বাস্তবায়ন করতেই যত বিড়ম্বনা।"

তারা আরও বলেন, “ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালু না থাকা উত্তরাঞ্চলের প্রতি বৈষম্যের নগ্ন উদাহরণ। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন কিংবা বিমানে যোগাযোগ উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন গতি আনবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি আসে, বাস্তবায়ন হয় না। পাবনার মতো একটি সম্ভাবনাময় জেলাও অবহেলার শিকার। অথচ এটিই উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার।”

শহীদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হলেও মানববন্ধনটি ছিল শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। কোনো যানজট বা যাত্রী চলাচল বিঘ্ন ঘটার মত ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি।

নাগরিক সমাজের এই ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে একটি কঠিন বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: