13 Sept 2025

সিলেটে সম্প্রীতির ইতিহাস অনন্য : ডিসি সারোয়ার

 

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছেন, আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে সম্প্রীতির ইতিহাস অনন্য। ধর্মে-বর্ণে ভিন্নতা থাকলেও সব ধর্মের মানুষ একে অন্যকে সম্মান করে, যা দেশে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় শারদা স্মৃতি ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ আয়োজনে বার্ষিক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থের সভাপতিত্ব করেন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ এবং মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ সঞ্চালনা করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। যে কোনো সমস্যায় প্রশাসক ও মনিটরিং সেলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা। বক্তব্য দেন মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মলয় পুরকায়স্থ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পাল, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দেব।

সভায় স্ব স্ব পূজামণ্ডপ কর্তৃক পূজার আয়োজন ও উদযাপনে স্থানীয় প্রশাসন, সমস্ত রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রনেতারা, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে সম্পৃক্ত করতে হবে। পূজামণ্ডপে সাউন্ড সিস্টেম, মণ্ডপের ভেতরে পরিমিত শব্দে ধর্মীয় গান বাজাবেন। ঢাক-ঢোল, দ্বারা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করবেন। উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রাত ১২টা থেকে সব প্রকার সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ থাকবে। কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এরূপ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে এবং আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকবে।

সিলেট শহরের ঐতিহাসিক চাঁদনীঘাটে প্রতিবারের ন্যায় সুবোধ মঞ্চ থেকে প্রতিমা বিসর্জন নিয়ন্ত্র করা হবে। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে সূর্যাস্তের পূর্বেই বিসর্জন কার্যক্রম সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হয়।অনুষ্ঠানে পবিত্র গীতা পাঠ করেন জেলা শাখার সদস্য রতন কান্তি দাস। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শৈলেল কর।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ ঋশিকেশ ধর, জেলা প্রচার সম্পাদক রজত কান্তি চক্রবর্তী, কোষাধ্যক্ষ বিদ্যুত কান্তি সেন, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেবব্রত চক্রবর্তী লিটন, মহানগর কোষাধ্যক্ষ ডিজি রুমু, দপ্তর সম্পাদক হারাধন দেব প্রবাস, সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন কুমার বিশ্বাস, সাবেক বাগানবেনী সভাপতি প্রীবাস মহালী, মহানগর সদস্য নন্দন চন্দ্র পাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকি দে, জকিগঞ্জ শাখা সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র নাথ, কানাইঘাট সভাপতি ভজন লাল দাস, গোয়াইঘাট সভাপতি সুবাস পাল ছানা, ফেঞ্চুগঞ্জ সভাপতি বিজন দেব নাথ, গোলাপগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি দাস, বিয়ানীবাজার সাধারণ সম্পাদক রিপ্লব চক্রবর্ত্তী, জৈন্তাপুর সাধারণ সম্পাদক দুলাল দেব, কোম্পানীগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ বিশ্বাস, বিশ্বনাথ সাধারণ সম্পাদক ভিবাংশু গুন ভিবু, কোতোয়ালি থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট অরবিন্দু দাশ গুপ্ত ভিবু, এয়ারপোর্ট সভাপতি নান্টু রঞ্জন সিংহ, শাহপরাণ সভাপতি বিরেশ দেব নাথ, গোলাপগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত দাস, দক্ষিণ সুরাম সাধারণ সম্পাদক নিখিল মালাকার, জালালাবাদ সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস প্রমুখ।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: