10 Dec 2025

সাংবাদিককে হাতুড়ি পেটায় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার

 

অফিসে ঢুকে সাংবাদিককে হাতুড়িপেটার ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আমানতগঞ্জ ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন উল ইসলাম।

তিনি জানান, কনস্টেবল নাভিদ আনজুমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে আহত সাংবাদিক এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি, দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে কনেস্টবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার সুশান্ত সরকার।এদিকে হামলার ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফার ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ফিরিয়ে দিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই সাঈদ। তিনি বেশ কিছুদিন আগে মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া পুলিশ কনস্টেবল নাভিদ আনজুমের পক্ষ হয়ে সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফার ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যান। বিষয়টি সদ্য বিদায়ি ওসি মিজানুর রহমানকে জানানো হলে তিনি মীমাংসা করার কথা বললেও ল্যাপটপসহ মালামাল ফেরত দেননি এএসআই সাঈদ।

গুরুতর আহতাবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেসরকারি এশিয়ান টেলিভিশনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান ফিরোজ মোস্তফা জানিয়েছেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোডের এশিয়ান টিভির অফিসে প্রবেশ করে কনস্টেবল নাভিদ আনজুম অতর্কিতভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে (ফিরোজ) আহত করে। পরবর্তীতে বাইর থেকে অফিসের রুম আটকিয়ে চলে যায় হামলাকারী ওই পুলিশ কনস্টেবল। এরপর জীবন বাঁচাতে সাংবাদিক ফিরোজ মোস্তফা ৯৯৯-এ ফোন করার পর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।আহত ফিরোজের সঙ্গে কনস্টেবল নাভিদ আনজুমের কয়েক মাস আগে ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় হয় এবং এ সূত্র ধরে তার অফিসে যাতায়াত ছিল। তবে ফিরোজ মোস্তফা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে সুযোগে তালার চাবি বানিয়ে নেয় নাভিদ। আর ফিরোজ মোস্তফার অনুপস্থিতিতে অফিসে অবৈধভাবে প্রবেশ করে।

পরবর্তীতে বিষয়টি ফিরোজ মোস্তফার দৃষ্টিগোচর হলে নাভিদকে অফিসে আসার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এতে নাভিদ তার অপকর্ম করার সুযোগ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে একাধিকবার ফিরোজ মোস্তফার ওপর হামলা চালায়।

এদিকে নাভিদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, সে দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। যদি আকস্মিক এ মুহূর্তে ডোপ টেস্ট করা হয়, তাতেই তার প্রমাণ মিলবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: